স্ব-দক্ষতা অর্জন করুন( "Self-Mastery"):-

কিভাবে স্ব-দক্ষতা অর্জন করবেন ?  

“SELF-MASTERY” অর্থাৎ নিজ দক্ষতা প্রাপ্তি হলো পারিপার্শিক বাধাকে অতিক্রম করে নিজের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আপন লক্ষ্য প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি শুধু লক্ষ্য প্রাপ্তি হয় না। এই প্রাপ্তির মাধ্যমে ব্যক্তির গুন্, দক্ষতা, জ্ঞান, এবং চরিত্রের বিশাল পরিবর্তন ঘটে, তথা উন্নতি ঘটে।এর অর্থ হলো সফলতার চরম শিখরে পৌছানো। SELF-MASTERY কথার অর্থ হলো নিজেকে নিজের অনুগত রাখতে শেখা। MASTER MIND ব্যক্তি নিজের জীবন কে নিজের মতো করে পরিচালিত করতে পারেন।


আজ আমরা এই “SELF-MASTERY” কি ? এবং কি করে “SELF-MASTERY” লাভ করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।

1) মানুষের মধ্যে দু ধরনের মানসিকতা আছে। a) চাকর মানসিকতা। b) মালিক মানসিকতা।  

a) চাকর মানসিকতা:- চাকর মানসিকতার ব্যক্তি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হন, অন্যের দ্বারা চালিত হন। অন্য ব্যক্তি বা পরিস্থিতির দ্বারা চালিত হন। তিনি পরিস্থিতির চাপে নিজেকে দুর্বল মনে করেন, আত্মবিশ্বাস হারান এবং অন্যের ছায়া জীবন অতিবাহিত করেন,  নিজের জীবন নয়। তিনি সমাজের স্রোতে বয়ে যান এবং অন্যকে সন্তুষ্ট করতে যাওয়ার চক্করেই জীবন কেটে যায়। এটা হলো সেই ব্যক্তিদের জীবন যাঁরা SELF-MASTERY অর্জন করতে পারেন নি।

2)মালিক মানসিকতা :-যিনি SELF-MASTERY অর্জন করেছেন। তাঁর জীবনে নিজস্ব লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে।তিনি নিজে তাঁর  জীবনের মালিক। তিনি নিজে নিজেকে ইচ্ছামতো চালিত করেন। তাঁর জীবনে লক্ষ্য থাকে, লক্ষ্যকে পূরণ করবার জন্য পরিকল্পনা থাকে এবং নিজের লক্ষ্যকে পূরণের উদ্দেশ্য কাজ করেন এবং সফলতা লাভ করেন।

অনেকেই মনে মনে বড়ো বড়ো  লক্ষ্য স্থির করেন, কিন্তু তার খুব কম জনই লক্ষ্য কে বাস্তবায়িত করতে পারেন। ধরুন কেউ কোটিপতি হওয়ার জন্য লক্ষ্য স্থির করলেন। তার জন্য ব্যবসা করবেন ঠিক করলেন। কিন্তু পারিবারিক চাপে চাকুরী তে যোগ করলেন। এর পর গাড়ি করো রে,বাড়ি করো রে, পারিবারিক চাপে বিয়ে  করে, ধন সম্পদ সঞ্চয় করে, এর পর সাধারণ জীবন যাপন করে, তার পর চলে গেলেন। এটা SELF-MASTERY নয়। অন্যের ইচ্ছামতো, অন্যকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে জীবন শেষ করে দেওয়া তা SELF-MASTERY নয়।

চাকুরী করা, পরিবার করা, অর্থ উপার্জন এসব খারাপ কিছু নয় যদি এটা আপনার জীবনের লক্ষ্য থাকে। কিন্তু যদি আপনার ইচ্ছা বা সখ অন্য কিছু এবং আপনি অন্য কিছু করে জীবন কাটিয়ে দিলেন, যাতে আপনি সন্তুষ্ট নেই, তাহলে সেটা নিজের জীবনী নয়,  সেটা অন্যের ছায়া জীবনী।

ব্যক্তি কখনো কখনো ছোট ছোট সাময়িক আনন্দ পাওয়ার কারণে নিজের পরম উদ্দেশ্য কে ভুলে যায়। ধরুন পাহাড়ের চূড়ায় পৌছানো এক ব্যক্তির  লক্ষ্য। পাহাড়ে ওঠার জন্য তিনি যাত্রা শুরু করলেন। ৩-৪ কিলোমিটার ওঠার পর দেখতে পেলেন এক সুন্দর রেস্টুরেন্ট। সেখান আছে সুন্দর খাবার, সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, হোটেল এ রয়েছে সুন্দর সুন্দর রমণী। সেই মোহে তিনি আকর্ষিত হয়ে সেখানে থেকে গেলেন। আর কয়েকদিন সেখানে কাটিয়ে ফিরে এলেন। অন্যরা জিজ্ঞেস করলে সন্তুষ্টির জন্য উত্তর দিলেন যে পাহাড়ে উঠা দুর্গম, সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। .......এমনটি অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে।

অথবা সেই ব্যক্তি অনেকটা দূর পাহাড়ে উঠলেন, একজায়গায় গিয়ে এমন পরিস্থিতি যে সেখানে আর পথ নির্ণয় করতে পারছেন না। কাছে দেখলেন আরো কয়েকজন, যাঁরা ফিরে আসছেন। তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন তাঁরা ফিরে আসছেন কেন ? তাঁদের উত্তর... রাস্তা খুব কঠিন, প্রচণ্ড ঝুঁকিকর, এগিয়ে গেলে বিপদ ফিরে যাওয়াই ভালো। সেই লোকেদের কথা শুনে তিনিও ফিরে এলেন। পাহাড়ের শিখরে ওঠা আর হলো না। এমনটাও অনেকের জীবনে ঘটে। জীবনে যাত্রা পথে যখন বিপদ আসে, বা রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না তখন তাঁদের পরামর্শ নিয়ে চলবেন না যাঁরা সেই পথে কোনোদিন সফল হন নি। পরামর্শ যদি নিতে হয় তাহলে সেই ব্যক্তিদের কাছে পরামর্শ নিন যাঁরা সেই পথে গিয়ে সফল হয়েছেন। আর যদি আপনি এমন পথে যাত্রা শুরু করেছেন যে পথে বিশ্বের কেউ কোনোদিন যায় নি বা সফল হয় নি, তাহলে চরম সিদ্ধান্ত আপনাকে নিজেকেই নিতে হবে যে আপনি কি করবেন।

 

2)অন্যের বেঁধে দেওয়া সীমাতে যেন আপনি বেঁধে না যান।অনেকেই বলবেন এটা করা সম্ভব নয়। অনেকে বলতে পড়েন আপনার দ্বারা হবে না। সেসবে কান দেবেন না। নিজেকে কমজোর ভাবা, বা নিজেকে অক্ষম ভাবা বা নিজেকে অশৌচ ভাবা, এসব থেকে বেরিয়ে এসে নিজের আর্ত্মশক্তিকে বিকশিত করতে হবে। নিজের জন্মগত এবং পরিস্থিতি বা পরিবেশগত দুর্বলতা কে মনের মধ্যে স্থান দেবেন না।পারিবারিক দুর্বলতা, দারিদ্রতা,শিক্ষার অভাব,অযোগ্য পরিবেশ কোনোকিছুই আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না । যদি আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস, অদ্যাম সাহস  নিজেকে সফল হওয়ার প্রচণ্ড জেদ এবং কঠোর পরিশ্রম করবার ক্ষমতা থাকে তাহলে যে কোনো বড়ো বড়ো লক্ষ্য কে প্রাপ্তি সম্ভব। কাল্পনিক সীমাবদ্ধতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসুন।

                                                                                  






3) “SELF-MASTERY” পাওয়ার পথে সবথেকে বড়ো যে দুটি ভুল হয় সেগুলি হলো:-

a) "MASTERY" র জন্য যাত্রা শুরু না করা।

b) “SELF-MASTERY” র যাত্রা শেষ না করা। অর্থাৎ পরিস্থিতির চাপে আপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কে ছেড়ে যেন পালিয়ে না যান।  

4) আপনি যে বিষয়ে “SELF-MASTERY” পেতে চান, সেই বিষয়ে একজন কোচ বা শিক্ষক আপনাকে পথপ্রদর্শক হিসাবে রাখতে হবে। তিনি আপনাকে প্রতিপদে তাঁর অর্জিত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞাতা দিয়ে আপনার পথ প্রদর্শন করতে পারবেন।  এতে আপনার লক্ষ্যে পৌছানো সহজ হবে।


5) আপনি সংগীত, নৃত্য, ফুটবল, ক্রিকেট,ব্যবসা যা কিছু বিষয়েই “SELF-MASTERY” পেতে  চান না কেন, প্রতি পদে আপনার বৃদ্ধির মূল্যাঙ্কন করতে হবে।যা যা নতুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিখছেন তা লিখে রাখতে হবে। যা সামনে বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।  আর যা যা ভুল হচ্ছে সেটাও লিখে রাখতে হবে যাতে আবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

6) যে কোনো কাজে “MASTERY” পেতে গেলে শুরু করা তা সবথেকে কঠিন মনে হয়।কারণ   শুরুতে সবকিছু নতুন এবং অজানা থাকে। ধীরে ধীরে কিছুটা জানা হয়ে গেলে, সেই কাজে আগ্রহ বাড়তে থাকে। ধরুন আপনি পিয়ানো বাজানো শিখবেন। শুরুতে আপনি কিছুই জানেন না।  এমনকি পিয়ানোর কোনটি কি সেটাও জানেন না। আপনার মেন্টর আপনাকে সেটার পরিচয় করিয়ে দেন এবং আপনাকে পিয়ানো শেখাতে থাকেন।  আপনি প্রতিদিন অভ্যাস করতে শুরুকরেন।অভ্যাস করতে করতে ধীরে ধীরে পিয়ানো বাজানোর সাধারণ পদ্ধতি আয়ত্ত করে নেন। সাধারণ দক্ষতা আয়ত্ত হয়ে গেলে মেন্টর আপনাকে পিয়ানো বাজানোর কঠিন ধাপ শেখান। এটা শিখতে শিখতে আপনি পিয়ানোর সাথে এক গভীর সম্পর্ক খুঁজে পান। আপনার দক্ষতা অভ্যাস করতে করতে নতুন সুর নতুন ধার আপনি খুঁজে পেতে শুরু করেন যা আপনার মেন্টর আপনাকে শেখায় নি। আপনার  আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। আপনি সুরের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে থাকেন। আপনার জ্ঞান বাড়তে থাকে। এখন মেন্টর আপনাকে যা শিখিয়েছেন তার থেকেও নতুন নতুন মধুর সুর আপনি আবিষ্কার করেন। এভাবে বছরের পর বছর অভ্যাস করতে করতে আপনি নতুন এক সেরা জায়গায় পৌঁছান। আপনি দক্ষ পিয়ানো মাস্টার হয়ে যান। আপনি এমনটাই দক্ষতা লাভ করেন যেন পিয়ানো বাজানোটা আপনার কাছে একটা খেলা। এভাবেই যে কোনো বিষয়ে দীর্ঘ দিন  অভ্যাসের মাধ্যমে মাস্টারী লাভ করা যায়। যে কোনো বিষয়ে ভালোভাবে মাস্টারী পেতে গেলে 10,000 ঘন্টারও  বেশি  সময় ধরে অভ্যাস করতে হয়।

7) “SELF-MASTERY” একদিনে পাওয়া যায় না। এটা হলো দীর্ঘদিন একই কাজে ক্রমাগত ভাবে লেগে থাকার ফল। “SELF-MASTERY” পেতে গেলে একই কাজের জন্য বার বার অভ্যাস করতে হবে।

8) যে কোনো বিষয়ে সেলফ মাস্টারী পেতে গেলে নিজের মেজাজ ঠান্ডা রাখতে হবে। উগ্র বা হতাশ মেজাজ আপনাকে সঠিক চিন্তন অথবা অভ্যাস করতে দেবে না। সঠিক সিদ্ধান্ত বা নির্ণয় নিতেও বাধা সৃষ্টি করবে। পরিস্থিতি যায় হোক না কেনশান্ত মস্তিষ্কে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। আর যেটা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তার জন্যও চিন্তা করবার দরকার নেইকারণ তার নিয়ে চিন্তা করেও কিছু তো করাই যাবে না।

8) নিজের হৃদয় কে শুদ্ধ রাখুন। ছল কপট নয়শান্ত এবং শুদ্ধ মন আপনার মানসিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশে খুব উপকারী। নিজের প্রিয়জনদের সাথে সময় দিন। সঠিক বন্ধু জোগাড় করুন যে আপনাকে শ্রদ্ধা করে। ভালোবাসেএবং আপনার কাজে এবং আপনার লক্ষ্যে আপনাকে উৎসাহিত করে। আপনার জীবন সঙ্গী যদি আপনার কাজে সহযোগী হয় তাহলে আপনার লক্ষ্য কে প্রাপ্তি করা আরো সহজ হয়ে যায়।

 10আমাদের শরীর এবং মন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই “SELF-MASTERY” পেতে গেলে শরীরের মাস্টারিও প্রয়োজন। সুস্থ শরীর না থাকলে সুস্থ জীবন সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যকর আহার প্রয়োজন। আমরা যে খাদ্য খাই তার থেকেই শরীর এর সবকিছু যোগান হয়। তাই সুস্থ আহার এবং সঠিক পরিমান আহার অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট শরীর চর্চাব্যায়াম ইত্যাদি করা দরকার। রোজ খাবারের মধ্যে বেশি পরিমানে শাকসবজি এবং ফলমূল রাখতে হবে।

মানুষের মধ্যে দুই ধরনের মন লক্ষ্য করা যায়। 1) প্রশস্ত  মন এবং 2)সাধারণ মন। 

1) প্রশস্ত মন হলো যে মন খোলামনে নির্দ্বিধায় বিশ্লেষণ করে বা আলোচনা করে। আর 2) সাধারণ মন হলো যে মনের পূর্ণ বিকশিত নয়।  

 

উদাহরণ দিয়ে দেখা যাক। যে বালকটি স্বেচ্ছায় শিক্ষক হাতে চায় তাকে জিজ্ঞেস করুন সে বড়ো হয়ে সে যদি বলে আমি সারা বিশ্বকে জ্ঞান দান করবো, তাহলে এ ভাবনা হলো প্রশস্ত মনের ভাবনা

আবার একজন পিএইচডি প্রাপ্ত ছাত্র কে জিজ্ঞেস করুন.. তিনি কোথায় শিক্ষকতা করতে চান ? তিনি যদি বলেন আমি হাভার্ড বা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো তাহলে সেটা হলো সাধারণ মন। সেটা প্রশস্ত মন নয়। কারণ তিনি বিস্তারিত ভাবে ভাবতে পারেন নি যে তিনি পুরো বিশ্বকে জ্ঞান দান করবেন।

এখানে বালকটির মধ্যে প্রশস্ত মন থাকলেও তার মধ্যে এখনো দক্ষতা আসে নি। অন্যদিকে সেই পিএইচডি করা ছাত্রের মধ্যে জ্ঞানের দক্ষতা থাকলেও তাঁর মধ্যে প্রশস্ত মন নেই।

“MASTERY” পেতে গেলে প্রশস্ত মনে সৃজনশীলতার সঙ্গে দক্ষতার সংযোগ হতে হবে তবেই সম্ভব হবে।

      

সূত্রটি হলো ........CREATIVITY+SKILL= ”SELF-MASTERY”.   



    সারাংশ  "Robert Greene" এর লেখা "MASTERY" নামক বই থেকে সংগৃহীত। 

   উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like  এবং Share করুন।


আরো পড়ুন:Finish what you Start.  How to set your goal? ,  

                      How Success Rule works? ,  7 Habits of Highly Effective People ,

                      Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস , 11 Qualities of a Successful Person.

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev

                       আকর্ষণের সূত্র  , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র , 


For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com

   

Post a Comment

0 Comments