কিভাবে বন্ধুদের জিতবেন এবং অন্যদেরকে মনকে প্রভাবিত করবেন(How to win friends and influence people):-

কিভাবে বন্ধুদের জিতবেন এবং অন্যদেরকে মনকে প্রভাবিত করবেন:-

মানুষ হলো সামাজিক জীব। মানুষ একা বাঁচতে পারে না, সমাজে বাস করে এবং একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে বাঁচে। সেই জন্যই একে অপরের প্রতি ভালো সম্পর্ক স্থাপন, বন্ধুত্ব স্থাপন, ভালো ব্যবহার, এসব খুব প্রয়োজনীয় বিষয়। সমাজে আপনার যতই স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব থাকবে আপনি ততই বলবান। এজন্য অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে জানা টা খুব প্রয়োজনীয়। লেখক ,"Del Carnegie" এই "How to win friends and influence people" নামক বইতে  কিভাবে বন্ধু তৈরি করা যায়, অন্যদের মন জয় করা যায় এবং অন্যদের প্রভাবিত করা যায়, সে বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। আজ আমরা এই বইয়ের সার বস্তু সম্বন্ধে জানবো।


অন্যদের প্রভাবিত করার কতকগুলি প্রধান পদ্ধতি হলো:-

1) কাউকে সমালোচনা করবেন না, কাউকে নিন্দা করবেন না এবং কোন বিষয়ে অভিযোগ করবেন না।

2) অন্যদের সৎ এবং আন্তরিক ভাবে প্রশংসা করুন।

3) অন্যজন কে এমন ভাবে উৎসাহিত করুন যাতে তাঁর মনে হয় আমার এই ব্যক্তিটিকে খুব প্রয়োজন।


ছয়টি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি অন্যদের পছন্দের পাত্র হবেন:-

1) অন্যদের প্রয়োজনের প্রতি সত্যি সত্যিই আগ্রহ দেখান।

2) নিজে  সব সময় খুশি খুশি ভাবে থাকুন।

3) অন্য ব্যক্তির নাম মনে রাখুন।সবাই নিজের নাম ধরে ডাকলে সেটা ভালো লাগে। নিজের নাম শুনতে সবার ভালো লাগে।

4) একজন ভালো শ্রোতা হন।

5) অন্য ব্যক্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখান। সেই বিষয়ে কথা বলুন।

6) কথা বলার সময় অন্য জনকে গুরুত্ব অনুভব করান এবং সেটা যেন সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়।


কিভাবে এমন অবস্থা তৈরি করবেন যে অন্যরা আপনার কথা মতো চালিত হবে:-

1)অন্যের সাথে তর্ক বিতর্কে যাবেন না। তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

2) অন্যের মতবাদের সম্মান করুন। কখনো বলবেন না "যে তুমি ভুল বলছো।"

3) যদি আপনি নিজে ভুল করেন, সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করে নিন এবং ক্ষমা চেয়ে নিন।

4) বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে কথাবার্তা শুরু করুন।

5) অন্যের সমর্থন জোগাড় করতে তাকে এমন বিষয়ে কথা বলা যাতে তিনি সর্বদা আপনাকে স্বীকার করে "হ্যাঁ" উত্তর দেন।

6) অন্য একজনকে কথাবার্তায়,তর্কে, জয়ী হতে দিন,

 সন্তুষ্ট হতে দিন।

8) অন্যজনকে অনুভব করতে দিন যে.. সেই পরামর্শটি তাঁর দেওয়া।

9) অন্যজনের পরামর্শ এবং চাহিদার প্রতি সহমর্মিতা দেখান।

10) আপনার পরামর্শকে অন্যের কাছে এমন ভাবে সাজিয়ে বলুন যাতে রসালো মনে হয়।

11) অন্যজনকে চ্যালেঞ্জ ফেলে দিন।


একজন নায়ক  অন্যের মতবাদ এর প্রতিবাদ না করেই কিভাবে তাঁদের মনোভাব পরিবর্তন করা যান?:-

1) অপরজনের প্রশংসার মাধ্যমে এবং সততার সহিত কথাবার্তা আরম্ভ করুন।।

2) যদি কেউ কিছু ভুল করে, তাহলে সরাসরি নিন্দা করবেন না। পরোক্ষভাবে তার ভুলটা ধরিয়ে দিন এবং সেটির সমাধানের কথা বলুন।

3) অন্যের ভুল ধরার আগে, অন্যকে নিন্দা করার আগে, তাঁকে এটাও দেখান যে… সবারই মাঝে মধ্যে ভুল হয়, আপনার নিজেরও মাঝেমধ্যে ভুল হয়,এতে তিনি লজ্জিত হবেন না।

4) কাউকে সরাসরি আদেশ দেওয়ার বদলে তাকে প্রশ্ন বাচক আদেশ দিন।

5) অন্যজনকে দোষ করলে লজ্জিত করবেন না, তাঁকে দোষ লুকানো সুযোগ দিন। তাঁকে আলাদাভাবে ডাকুন এবং তাঁর দোষ বা তার ভুল মনে করিয়ে দেন যাতে তিনি লজ্জিত না হয়েই নিঃশব্দে নিজের দোষ বা ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পান।

6) কেউ কোন কাজে অল্প অল্প প্রগতি করলেও সে ব্যাপারে তার প্রশংসা করুন তাঁর প্রগতি কে, তাঁর উন্নতি কে হৃদয় দিয়ে তাকে স্বাগত করুন।

7) অন্য ব্যক্তিকে অপমান করবেন না। তাঁর আত্মসম্মান রেখে তাঁকে বাঁচার অধিকার দিন।

8) যেকোনো কাজে  যে কোনো বিষয়ে উৎসাহ ব্যবহার করুন। কাজ করতে গিয়ে কেউ যদি কিছু ভুলও করেন, তাঁকে এমনভাবে অনুভব করান যে তিনি যা ভুল করছেন সে ভুলটি শোধরানো সহজ।

9) অন্য ব্যক্তির পরামর্শ নিন, অন্য ব্যক্তির সাহায্য নিন, এভাবে অন্য ব্যক্তিকে কাজে সংযোজিত করে তাকে সুখী অনুভব করান।


মানুষের মধ্যে একটা স্বভাব আছে, কেউ নিন্দিত হতে চান না। তাই দেখা গেছে প্রায় ১০০ জনের ৯০ জনকে দেখা গেছে যে তিনি দোষ করলেও দোষকে লুকোতে চান। নিজের নিন্দা কোনোমতেই পছন্দ করেন না। সেজন্য কাউকে নিন্দা করাটা ব্যর্থতা। তিনি নিজেকে নিন্দা কাটানোর চেষ্টা করেন, তার জন্য দরকারে মিথ্যে সাহায্য নেন, তাই নিন্দা করাটা ভয়ংকর। এতে ব্যক্তির গর্ব খর্ব হয়, মনে ব্যথা লাগে, নিজের সম্মানহানি অনুভব করেন এবং তাঁর মধ্যে রাগের বা ক্রোধের সঞ্চার হয়।

মহান দার্শনিক কনফুসিয়াস একটা কথা বলেছেন যে "নিজের ছাদে বরফ জমে থাকলে অন্যের ছাদের বরফ নিয়ে মন্তব্য করতে যাবেন না।"অর্থাৎ নিজের ভুল থাকলে অন্য কেউ ভুল ধরতে যাবেন না আগে নিজ শুধরান।


মানুষ হলো তার্কিক জীব, যুক্তিতর্ক দিয়ে সব জিনিসকে পরখ করে। আমরা ভাবনাত্মক জীবও বটে। তাই কেউ প্রশংসা করলে আমরা খুশি হই, উৎসাহিত হই, আর নিন্দা করলে হতাশও হই। আবার কখনো কখনো অহংকারও গ্রাস করে।

অন্যের নিন্দা করার চেয়ে তার মধ্যে যে ভুল সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ খুঁজে বার করুন তাঁর এরকম প্রতিক্রিয়ার কারণ কি? আমরা সবাই চাই যেন অন্যরা আমাকে সম্মান করে।


যদি আপনার কাজের জন্য সহায়তা করতে কাউকে রাজি করাতে চান, তাহলে তার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে "কি করে তাঁকে রাজি করাবো?" যদি অন্যকে রাজি করাতে চান.. তাহলে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করতে হবে। ভাবুন যদি আপনি তাঁর জায়গায় থাকতেন তাহলে আপনার কি অনুভব হতো?


যদি দুই মাসের মধ্যে অনেক বন্ধু জোগাড় করতে চান, তাহলে অন্যদের কাজে আপনি আগ্রহ দেখান। তাঁরা কি চান? কি করতে চান? সেই কাজে সাহায্য করুন।

অন্যরা কি চান সেটা জানুন এবং সেই বিষয়ে তাঁর কাছে কথা বলুন। অন্যকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করান।

যাঁর যতই যোগ্যতা বা ক্ষমতা থাক না কেন, সবাই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করেন এবং এটি সত্যিই যে সবাই কোন না কোন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা স্বীকার করুন এবং সেই গুরুত্বের জন্য তাঁকে সম্মান জানান,স্বীকৃতি দিন। তাহলে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কারো দুর্বলতা নিয়ে নিন্দা করবেন না।


যাঁর সাথে কথা বলবেন.. তাঁর জীবন, তাঁর অভিরুচি, তাঁর ইচ্ছা সম্বন্ধে কথা বলুন, দেখবেন তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার কথা শুনবেন।


যদি অন্যের সাথে তর্ক করেন, বিরোধ করেন, অন্যকে অযথা পাকান, তাহলে হয়তো আপনি হয়তো তর্কে জিতবেন, কিন্তু সে জয় দিয়ে লাভ হবে না। এভাবে আপনি অপরপক্ষের কাছ থেকে স্বেচ্ছা বা সমর্থন কখনোই আদায় করতে পারবেন না।

                                        




অন্যের সঙ্গে মতবিরোধ হলেও যাতে সেটা তর্কের দিকে না গড়ায় তার জন্য কি করবেন?

1) মতবিরোধ কে স্বীকার করুন।

2) আপনার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে মিলিয়ে দিন।

3) ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

4) প্রথমে বিষয়টি নিয়ে শুনুন।

5) যে যে বিষয়ে মতের মিল হচ্ছে সেগুলি দেখুন। 6)সৎ হয়ে অন্যের বিরোধী মন্তব্য গুলির ব্যাপারে ভাবুন এবং ভালো করে বিশ্লেষণ করুন।

7) এই বিষয়ে আগ্রহের জন্য অপর ব্যক্তিকে ধন্যবাদ করুন এবং মূল বিষয়টি অর্থাৎ যে উদ্দেশ্য এই তর্ক-বিতর্ক সেই মূল বিষয়কে এবং সেই সমস্যার সমাধানের বিষয়কে, বেশি গুরুত্ব দিন। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।

এমন বলুন হতে "পারে আমি ভুল। এমন ভুল হয়ে থাকে চলুন বিষয়টি নিয়ে গভীরে চিন্তন করে দেখি বিশ্লেষণ করে দেখি।"


আপনার ক্রেতার সঙ্গে তর্ক বিতর্কে যাবেন না।  বউয়ের সঙ্গে বা নিজের স্বজনের সঙ্গে তর্কে বিতর্কে যাবেন না।  নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে তর্কে বিতর্কে যাবেন না। সমস্যায় পড়বেন।

কূটনীতির প্রয়োগ করুন।

কোনো কাজ করতে গিয়ে যদি আমরা জানতে পারি যে আমরা গালি খেতে চলেছি, এর থেকে অন্য ব্যক্তিকে গস্তানোর বদলে নিজেই কাজটি করা ভালো।

যদি অন্য জন আপনাকে অপমান করবে বলে মনে হয়, তাহলে তার থেকে ভালো নিজেই নিজের নিন্দা করে সরে যাওয়া।

যখন মনে হবে আপনি ঠিক, তখন ভদ্রভাবে লোকের হৃদয় জয় করার চেষ্টা করুন। কিন্তু যদি আপনার মনে হয় আপনি ভুল, তাহলে উৎসাহের সঙ্গে ভুল স্বীকার করে নিন এবং চেষ্টা করুন ভুল শোধরানোর।

অন্যজনের সঙ্গে কথা বলার সময় যে সকল বিষয়গুলি সহমত বলে মনে হয়, সেই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা করুন। দেখানোর চেষ্টা করুন যে আমরা একই পক্ষের, শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয়ে আমাদের মনের মিল এর অভাব আছে। তাঁকে বোঝান যে..এসব সত্ত্বেও আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু একই। যেন আলোচনা শেষে দুপক্ষের মুখ থেকে এই কথাটি বার হয় যে "ঠিক আছে তাহলে আসি।"

কেউ হয়তো সম্পূর্ণ ভুল হতে পারেন কিন্তু সেটা তাঁর নিজেকে ভুল বলে মনে হয় না। তাঁর মনে হয় তিনি নিজের বিচার ঠিকই বলছেন। সেই জন্য বিরোধিতা না করাই ভালো। বুদ্ধিমান ব্যক্তি বিরোধিতা করতে যান না।

মোটকথা হল সব বিষয়ে অন্য ব্যক্তির নজর দিয়ে বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করতে হবে, যদি সেটা করতে পারেন তাহলে আপনি এক সিঁড়ি উপরে উঠে গেলেন।

বিষয়টি নিয়ে যাঁর সাথে আলোচনা করছেন, তার মতবাদকে ভালো করে শুনুন। তারপর বলুন "দেখুন আমি আপনাকে ভুল বলছি না। কিন্তু যদি আমি আপনার জায়গায় থাকতাম, তাহলে আমি এইরকম ভাবে কাজটি করতাম।"

 প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ লোকের মধ্যে দেখবেন.. তাঁরা সহানুভূতি পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত। তাঁদের সহানুভূতি দিন এবং দেখবেন তারা আপনাকে ভালবাসবে।

কেউ যদি আপনাকে ভালো কাজে খুব প্রশংসা করার পর ভুলের জন্য একটু নিন্দা করেন, তাহলে সেটা গায়ে অতটা লাগেনা। তাই এভাবেই করুন। আগে তার প্রশংসা করুন। তারপর তাঁর ভুলটা ধরিয়ে দিন।

কারো যদি কাজে ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সবার পাশে তাঁর নিন্দা করবেন না। তাঁকে একদিকে আলাদা ডাকুন, তারপর বুঝিয়ে দিন তার ভুল কোথায়? তিনি ভুল বুঝবেন এবং আপনাকে সম্মানও করবেন।

কাউকে একবার ভুল বুঝিয়ে দেওয়ার পরও যদি আবার পুনরায় ভুল করেন, তাহলে তাঁকে তাঁর স্বভাব পরিবর্তন করতে পরামর্শ দিন। তা না করলে তার কি বড় ক্ষতি হতে পারে সেটা বুঝিয়ে দিন।

শুধু আদেশ গ্রহণ করাটা কারো ভালো লাগে না। তাই শুধু আদেশ নয়, বিষয়টির নিয়ে পরামর্শের জন্য তাকে মতবাদ দেওয়ার সুযোগ ও যেন দেওয়া হয়।

যদি কাউকে কোন বিষয়ে ইমপ্রুভ করতে চান তাহলে বলুন.. "আপনার মধ্যে এ দক্ষতা লুকিয়ে আছে শুধু বের করে সেটা প্রয়োগ করতে হবে। আপনি তা করতে পারবেন। চেষ্টা করুন তাহলেই পারবেন।" এভাবে তাঁকে পরামর্শ দিলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।


আপনার ছেলেই হোক, বউ হোক বা কর্মচারী হোক, যদি আপনি তাকে বলেন, "তুমি একটা বোকা, তুমি একটা গাধা, তোমার দ্বারা হবে না। তুমি সব সময় ভুল করছ, তোমার কাজ করতে গিয়ে সব কিছু নষ্ট করে দাও।" এরকম ভাবে তাদের নিন্দা করলে তাদের মধ্যে কোন উন্নতি ঘটবে না। যদি তাদের সত্যিই উন্নত করতে চাও তাহলে কথা বলার পদ্ধতি পাল্টাও। তাদের উৎসাহ যোগাও, বলো," দেখো! এ কাজটা করা খুব কঠিন না। একটু চেষ্টা করো তুমি পারবে। আমি জানি তুমি পারবে। আমার তোমার প্রতি ভরসা আছে। আমি শিখিয়ে দিচ্ছি, এভাবে করতে হবে, তার পর তুমি করো।"

এইভাবে উৎসাহিত করলে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তারা উৎসাহিত হয়ে বারবার নিজেকে উন্নত করার জন্য চেষ্টা করবে। যাকেই যে কাজটা করতে দাও যেন সে সে কাজটা করে নিজের মধ্যে খুশি মনে করে এবং উৎসাহিত মনে করে।


যাঁরা উচ্চমানের দলপতি হন, তাঁরা এই বিষয়গুলি অনুসরণ করেন, যাতে নিজের আচার ব্যবহার পরিবর্তন করা যায়:-

1) কাউকে এমন শর্ত বা কথা দেবেন না যা আপনি করতে পারবেন না। নিজের লাভের কথা ভুলে যান, অন্যদের লাভের কথা চিন্তা করুন।


2) আপনি অন্য ব্যক্তিকে আসলে কি করাতে চান সেটা ভালোভাবে জানুন।

 3)নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যাকে দিয়ে কাজটা করাবেন তিনি আসলে কি চান?

4) কাজটি এমন ভাবে করুন তাঁর প্রয়োজনের ও যেন সমাধান বেরোয়।

5) আপনার আয় কে অপর ব্যক্তি চাহিদার সঙ্গে জড়িত করুন অর্থাৎ এমন ব্যবস্থা যেন হয়.. তিনি আপনার কাজটা করলে তাঁর প্রয়োজনীয় চাহিদার ও সমাধান হয়ে যাবে।

6) যখন কাউকে কাজ করতে অনুরোধ করবেন, এমন ভাবে তাঁকে বোঝান যাতে কাজটি করলে তিনিও উপকার পাবেন, তাহলে ব্যক্তি অবশ্যই কাজটি করতে রাজি হবেন।


এই সারবস্তু মহান লেখক এবং দার্শনিক "ডেল কার্নেগী" র লেখা বই "How to win friends and influence People" নামক বই থেকে সংগৃহীত। বই টি অবশ্যই পড়বেন খুব উপকারে আসবে।


উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like  এবং Share করুন।


আরো পড়ুন:Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev



For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com








Post a Comment

0 Comments