“আকর্ষণ সূত্র(The Law of Attraction)”
আজ আমরা “আকর্ষণ সূত্র” নিয়ে আলোচনা করব। পৃথিবীতে যা কিছু পাওয়া যায়, অথবা যা কিছুই পাই না, সবকিছু আকর্ষণের সূত্রের উপর নির্ভর করছে। আপনি এই সূত্রের মাধ্যমে প্রকৃতিকে যা কিছুই চাইবেন, সবই পাওয়া সম্ভব। “ল অফ অ্যাট্রাকশন” একটি শক্তিশালী নিয়ম। জেনেশুনেই হোক বা না জেনেই হোক যদি কেউ কোন বস্তুকে আকর্ষণ করেন, কোন বস্তুর উপর প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা রাখেন তাহলে সেটা পাওয়া সম্ভব। আপনার চিন্তাশক্তি চুম্বকের মতো কাজ করে। যদি আপনি কিছু ভাবছেন সেই ভাবনা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং আপনি যা চাইছেন প্রকৃতিতে আপনার সেই বস্তু বা তার মতো অন্য বস্তু যা প্রকৃতিতে রয়েছে, সবগুলোকে আকর্ষণ করে এবং সবগুলো যুক্ত হয়ে আপনার কাছে আসতে থাকে।
আকর্ষণের সূত্র সব জায়গায় কার্যকরী। স্বাস্থ্য বিষয়ক,সম্পদ,
গাড়ি-বাড়ি, খুশি-দুঃখ,
ব্যবসা,সবক্ষেত্রে কার্যকরী। আপনি
খারাপ কিছু চিন্তা করেন, তখন মহাবিশ্ব সেই খারাপ সিগন্যাল চারদিকে ছাড়িয়ে দেয়
এবং আপনি খারাপ বস্তুগুলিকে আকর্ষণ করেন এবং আপনার জীবনে খারাপ কিছু
হয় ।
এ
পৃথিবীতে অনেকগুলি নিয়ম রয়েছে যেমন “মহাকর্ষ
শক্তি”, যার কারণে যে কোনো বস্তু মাটিতে পড়ে,
গাছের ফল ইত্যাদি মাটিতে পড়ে। আকর্ষণ
এর সূত্র ও তেমনি একটা নিয়ম।
আমাদের
জীবনে প্রত্যেকদিন 60000 চিন্তাধারা আসে। কখনো একসাথে ভালো অনুভব এবং খারাপ চিন্তা ধারা তৈরি
হওয়া এটা একসাথে হয় না। আপনার যখন ভালো লাগছে, আপনি
খুশিতে আছেন তখন আপনার মাথা থেকে খারাপ চিন্তা ধারা আসবেনা।
অথবা আপনার মন যখন খারাপ রয়েছে তখন ভালো কিছু ভাবতে পারবেন না। সেজন্য এক কাজ করতে হবে আপনাকে সবসময় ভাল অনুভব করতে
হবে। যদি আপনি জীবনে যা কিছুই পরিবর্তন করতে চান,
আশেপাশে যা কিছু পরিবর্তন করতে চান, তাহলে সে
আপনাকে সে সম্বন্ধে মনের মধ্যে ছবির মতো করে কল্পনা করতে হবে।
যখন আপনি
খুশি হন বা ভালোবাসার অবস্থায় থাকেন, তখন “ল
অফ অ্যাট্রাকশন” সব থেকে বেশি কাজ করে, কারণ
এই সময় আপনি পরিষ্কার এবং উচ্চ কম্পাংকের থাকেন।
আপনি মহাসৃষ্টি কে যা চান সেটা আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে হবে,
যদি আপনি পরিষ্কার ভাবে না বলতে পারেন তাহলে “ল
অফ অ্যাট্রাকশন” কাজ করবে না।
এই মহাসৃষ্টিকে চাওয়া এর একটা পদ্ধতি রয়েছে সেই জন্য সবসময় এই মহা সৃষ্টি
কে আপনি চাইতে থাকুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে আপনি যে বস্তু মহাসৃষ্টি থেকে পেতে চাইছেন,
সেটা প্রাপ্তিতে যেন আপনার সন্দেহ না থাকে।
যেন আপনার বিশ্বাস নির্দিষ্ট থাকেন যে “আমি
এটা পাব”।
যেটা আপনি চান সেটা নির্দিষ্টভাবে বলতে হবে।
যখনই আপনি প্রকৃতিকে কিছু চেয়েছেন, তখন প্রকৃতি
আপনাকে দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। আপনি
এই মহা সৃষ্টিকে এমনভাবে বার্তা পাঠান যেন মনে হয় আপনি সেটা পেয়েছেন,
আপনি যেটা চাইছেন সেটার চিত্র মনে মনে তৈরি করুন।
বিশ্বাস করুন.. যেন আপনি সেটা পেয়ে গেছেন। মহাসৃষ্টি আপনাকে কিভাবে দেবে,
এই মহাসৃষ্টি থেকে আপনার প্রাপ্তি কি করে হবে সেজন্য আপনাকে ভাবতে হবে না,
আপনি শুধু বিশ্বাস রাখুন, এই সৃষ্টি আপনাকে সেটা দিয়ে দেবে। আপনি যেন মনের মধ্যে সন্দেহ না রাখেন যে আপনি পাবেন
না। আপনি শুধু একবার বার্তা পাঠিয়ে নিঃসন্দেহে থাকুন
সেটা আপনি পাবেন, বিশ্বাস রাখুন আপনি পাবেন।
আপনি যেটা ইচ্ছা করেন সেটার কাল্পনিক ছবি আপনি নিজের চিন্তাশক্তির ভেতরে রাখবেন
সেটাই ওই প্রাপ্য বস্তুকে আপনার কাছে আকর্ষণ করবে।
আপনার চিন্তা শক্তির চিত্রই বাস্তবায়িত হবে।
কতক্ষণে, কত দিনে, সেই প্রাপ্তি
হবে এটা নির্ভর করছে আপনি কত মনোযোগ দিয়ে সেটাকে চাইছেন অথবা সেটার দিকে আপনার মানসিক
শক্তি কতটা ঝুঁকে রয়েছে।
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন এই আকর্ষণের সূত্র কোয়ান্টাম
ফিজিক্স এর মত কাজ করে। আপনি যেটা চাইছেন, সেটা
এই মহা সৃষ্টিতে আগে থেকেই আছে। যদি আপনি মনে করেন “সময়”
বলে কোন বস্তু প্রভাব ফেলে না, তাহলে দেখবেন
আপনার জীবনে “সময়” প্রভাব
ফেলবে না।
আপনি যা চাইছেন তা আগে থেকেই এই সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে,
কোন কিছু প্রাপ্তিতে দেরি হওয়ার কারণ এই যে আপনি সেই বস্তুর উপর বিশ্বাস রাখতে
দেরি করছেন। আপনার “চাওয়া”র
যে কম্পাঙ্ক সেই কম্পাঙ্ক হিসাবেই আপনি পাবেন।
এই মহা সৃষ্টিকে “এক টাকা” চাওয়া
অথবা “এক কোটি” টাকা চাওয়া
দুটোই সমান, এবং দুটোই সমান সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু আপনি ভাবেন “এক
টাকা” পাওয়া সোজা এবং “এক
কোটি” টাকা পাওয়া খুব কঠিন এবং আপনি যেটা ভাববেন সেটাই
বাস্তবে রূপায়িত হয়। এক টাকা আপনি সহজেই পান কিন্তু “এক
কোটি” টাকা পেতে সময় লাগে কারণ এই চিন্তা-ভাবনার
চিন্তাটা কোনটা সহজে পাওয়া যেতে পারে এবং কোনটা কঠিন পরিস্থিতির মাধ্যমে পাওয়া যায়
এই সম্ভাবনার চিন্তাটা আপনি নিজেই তৈরি করেছেন।
আপনি যদি বাস্তবে এমন চিন্তা
করেন এবং বিশ্বাস করে বলতে পারেন, আপনার ভেতর থেকে যদি সে বিশ্বাস আছে যে,
এক কোটি পাওয়া সহজ তাহলে দেখবেন আপনি সহজেই এক কোটি টাকা পেয়ে যাবেন।
আকর্ষণ শক্তি বলছে যে এই মহাসৃষ্টিকে সব সময় বড় কিছু চান। যখন আপনি বড় কিছু চাইতে শুরু করবেন মহাসৃষ্টি আপনাকে বড় কিছু দিতে শুরু করবে। আপনার দিন কে আগাম ভাবে তৈরি করুন। আপনি কোথাও যাওয়ার আগে ভাববেন যে আজকে যাত্রা খুব সহজ হবে, এই চিন্তা যদি আপনার মাথায় আসে তাহলে দেখবেন যাত্রা সত্যি সহজ হচ্ছে, আর যদি আপনি ভাবেন যে আজকে যাত্রা খুব কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে যেতে গিয়ে দেখতে পাবেন সত্যিই আজ কঠিনের সম্মুখীন হচ্ছেন। এর কারণ এই মহা সৃষ্টিতে আপনি যেরকমই চিন্তাশক্তি পাঠাচ্ছেন, আপনার উপর মহাসৃষ্টি তেমনই প্রভাব দিয়ে চলেছে।
আপনি
যেটা পেতে চাইছেন মনে মনে তার ছবি তৈরি করুন, এমন
ছবিপ্রতিচ্ছবি তৈরি করুন যেন আপনার ওই প্রাপ্য বস্তু আপনি পেয়েছেন এবং বিশ্বাস করুন এই মহা সৃষ্টি আপনি
যেটা চাইছেন সেটা দেবে।
আপনি যা কিছু পেয়েছেন সবকিছু প্রাপ্তির জন্য প্রকৃতিকে
ধন্যবাদ করুন। দেখবেন সত্যি সত্যি প্রকৃতি আপনাকে এমন জিনিস দিয়ে
যাচ্ছে যে আপনি নিজেকে ধন্য মনে করবেন। এর
অর্থ আপনি যেরকম ধনাত্মক চিন্তা করছেন প্রকৃতি আপনাকে সেরকমই ধনাত্মক প্রভাব দিয়ে
যাবে। আপনি এই মুহূর্তে এর উপর বিশ্বাস রাখুন আপনি যেটা
চাইছেন সেটা মহাসৃষ্টি আপনাকে দিয়ে যাবে। সব সময়
খুশিতে থাকুন, দেখবেন, এই মহাসৃষ্টি
আপনাকে সবসময় খুশি দিয়ে যাবে।
কাউকে সাহায্য করা খুব প্রয়োজন,
কারণ যখন আপনি কাউকে সাহায্য করেন তখন আপনার মনে হয় যে..
এটা আমার কাছে আছে তাই সাহায্য করতে পারছি।
এই চিন্তাধারার কারণে প্রকৃতি আপনাকে
বারবার ধন-সম্পদ দিয়ে যাবে যাতে আবার অন্য কে সাহায্য করতে
পারেন। এর অর্থ আপনি যতই অন্য কে সাহায্য করবেন প্রকৃতি ততই
আপনাকে দিয়ে যাবে। কাউকে কিছু সাহায্য করতে গেলে একটা খুশির অনুভূতি হয় কোন কিছু ত্যাগ করতে
গেলে খুশির অনুভূতি হয়। আর যত বার আপনি খুশি র চিন্তা করবেন এই মহাসৃষ্টি
যত সব খুশির বস্তু আপনার কাছে নিয়ে আসবে।
যেটা
আপনার প্রয়োজন নেই সেই বস্তু এই মহাসৃষ্টির কাছ থেকে চাওয়ার দরকার নেই। এই মহাসৃষ্টির ক্ষমতা অসীম।
কারো সম্বন্ধে ভালো চাওয়া এবং কারো প্রশংসা করা এই দুটি জিনিস
- মানসিক দুশ্চিন্তাকে নষ্ট করে দেয়। সেই জন্য আপনার উচিত যেমন আপনি আপনার বন্ধুদের ভালো
চান, তেমনি ভাবে আপনি শত্রুদেরও ভালো চাইতে চেষ্টা করুন।
দেখবেন, সত্যি সত্যিই মহান সৃষ্টিআপনার শত্রুদের সাথে আপনার
সম্পর্ক ভালো করে দিচ্ছে, আপনি যদি অন্যের ভালো চান, অন্যের
জন্য আপনি যদি আর্থিক প্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করেন, তাহলে
দেখবেন এই মহাসৃষ্টি আপনার জন্য ভালো চাইছে, আপনার আর্থিক প্রাপ্তিতে সাহায্য করছে। লোক আপনার জন্য এই মহাসৃষ্টির কাছে কল্যাণ প্রার্থনা
করবে।
আপনি মহাসৃষ্টির সবথেকে বড় আকর্ষণ ভান্ডার। আপনি মহাসৃষ্টির সবকিছুই আকর্ষণ করতে পারেন। আপনার চিন্তাশক্তির মাধ্যমে আপনি যে জিনিসটাই মনে মনে চাইছেন, তার একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্ক রয়েছে। সেই চিন্তাশক্তি এই মহা সৃষ্টি থেকে সম কম্পাঙ্ক ও বিশিষ্ট সমধর্মী বিশিষ্ট যা-কিছু রয়েছে, সেই সব কিছু আপনার কাছে সংযোগ করে দেয়। এবার আপনি “আকর্ষণ শক্তির নিয়ম” সম্বন্ধে জানলেন, আপনি যা করবেন “আকর্ষণ শক্তি” আপনাকে পেতে সাহায্য করবে।
"আকর্ষণ সূত্র" গুলি অস্ট্রেলিয়ান লেখক Rhonda Byrne র লেখা "The Secret" নামক বই থেকে সংগৃহিত।
উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like এবং Share করুন।
আরো পড়ুন:- Finish what you Start. , Five ghosts of fear, Rules for Success
How Success Rule works? , 7 Habits of Highly Effective People ,
Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes
Motivational And Inspirational Quotes For Success , THE 10X RULE
Dan Lok's Advice For Success , 14 Risks you must take for Success
চিন্তন করুন এবং সফল হন , কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন ,
জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,
অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি ,
আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ ,
সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?, জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,
ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি ,
ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY Loan , Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev
আকর্ষণের সূত্র , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র ,
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
1 Comments
Mysuru Casino - The HERZAMMAN
ReplyDeleteMysuru Casino - งานออนไลน์ The Home of the https://jancasino.com/review/merit-casino/ Best of the Slots! herzamanindir Visit us to Play 메이피로출장마사지 the best slots and enjoy the best table games in our casino. worrione Visit us