বাস্তব জীবনে Compound Effect কি করে কাজ করে?
যাঁরা
জীবনে সফল হয়েছেন বা বড় বড় জায়গায় পৌছেছেন তাদের সফলতা কি রাতারাতি সম্ভব হয়েছে? না। তা নয়। বাস্তবে
তাঁরা সাধারণ লোকেদের থেকে ভিন্ন ভাবে কিছু কাজ করেন যা তাদের সফল বানায়।
সফল ব্যক্তিদের সফলতার কারণ হলো.. তাঁরা প্রতিদিন এমন ছোট ছোট কাজ করেন যা জীবনে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তিতে সাহায্য করে। কথায় বলে বিন্দু বিন্দু জল মিলে সাগর তৈরি হয়, কথাটা সত্যি। যদি আপনি কোনো ভালো আচরণ ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যাস শুরু করেন, তাহলে কিছু দীর্ঘদিন পর তার ফল দেখা যায়। একে বলা হয় "Compound Effect" বা "চক্র বৃদ্ধি প্রভাব" । আপনি যদি এটা প্রয়োগ করেন তাহলে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে বড় সফলতা পেতে পারেন। আপনি আপনার থেকে অনেক দক্ষ এবং চালাক লোকেদের থেকে আগে এগিয়ে যেতে পারেন। এটা আপনাকে স্বাস্থ্য, সম্পদ সবকিছু পেতে সাহায্য করবে। আইনস্টাইন এটিকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বলেছেন।
একটি কাহিনী আছে:-
যিনি দাবা খেলার আবিস্কারক, তিনি যখন রাজা মশাই কে খেলাটা দেখালেন, তখন রাজা মশাই এর খেলাটা এতো পছন্দ হলো, যে উনি তাঁকে পুরস্কৃত করতে চাইলেন। খেলার আবিস্কারক রাজা মশাই কে বললেন, রাজা সাহেব আমাকে বেশি কিছু পুরস্কার দিতে হবে না, শুধু দাবা খেলার ছকে যে ৬৪ টি ঘর আছে, তাতে প্রথম থেকে প্রতিটি ঘরে ধারাবাহিক ভাবে প্রথমটির দ্বিগুন করে চাল এর দানা রেখে যান, এবং এইভাবে ৬৪তম ঘর পর্যন্ত যে পরিমান মোট সংখ্যা হচ্ছে সেই পরিমান চালের দানা আমাকে দিন। রাজা মশাই হাসলেন "ব্যাস এইটুকু তুমি চাও?" "আমি তো তো চাইছিলাম বেশি কিছু দিতে। ঠিক আছে তোমার ইচ্ছে পূরণ হবে। "এই বলে তিনি রাজি হলেন। রাজার কর্মীরা ওই পরিমান চালের দানা ওই দাবা আবিস্কারক কে দিতে তৈরি হলো। দাবার প্রথম ঘরে ১টি চালের দানা ; দ্বিতীয়ঘরে ২টি,তৃতীয় ঘরে ৪টি ,চতুর্থ ঘরে ৮টি ,পঞ্চম ঘরে ১৬টি,ষষ্ঠ ঘরে ৩২টি ,সপ্তম ঘরে ৬৪ টি এই ভাবে চলতে থাকল।কিন্তু কিছু ঘরে যেতে যেতেই রাজার কর্মীরা বুঝলেন রাজা ফেঁসে গেছেন, ৬৪তাম ঘরে যে পরিমান চাল হবে সেটা যখন হিসাব করে দেখা গেলো, সেই চালের পরিমান হচ্ছে ১৮৪৪৬ ৭৪৪০৭৩৭০9৫৫১৬১৫ টি চালের দানা অর্থাৎ ৪৬১ বিলিয়ন মেট্রিকটন চাল। যে পরিমান চাল রাজকোষে নেই। রাজা আশ্চর্য হয়ে ওই লোকের পান্ডিত্য এর প্রশংসা করলেন। এবং নিজের ভুল স্বীকার করলেন। এটাই হচ্ছে চক্রবৃদ্ধি হরে বৃদ্ধির নিয়ম। "Compound Effect" বা যাকে আমরা “Domino Effect” বলে আমরা জানি, যা আপনার রোজগার হওয়া টাকা থেকে আবার নতুন রোজগার নিয়ে আসে।
দ্বিতীয় উদাহরণ দেখা যাক:- ধরুন কেও আপনাকে বললো আপনাকে পুরস্কার
টাকা দেয়া হবে। আপনি এক কাজ করতে পারেন একেবারে ৩০ লক্ষ টাকা নিতে পারেন অথবা
১ টাকার দ্বিগুন করে করে প্রতিদিন দিয়ে ৩০ দিন পর্যন্ত যে টাকা আপনার হবে সেই টাকা
আপনাকে দেওয়া হবে।এমনি তে দেখলে দেখা যাবে , বেশির ভাগ ব্যক্তি ৩০ লক্ষ টাকাটাই নেবেন কারণ অনেকেরই
ধৈর্য নেই, তাড়াতাড়ি
ফল লাভ করতে চায়।
এবার দেখা যাক প্রতিদিন ১টাকার দ্বিগুন করে বাড়ানো হলে ৩০ দিনে কত টাকা হচ্ছে। প্রথমদিন ১টাকা, দ্বিতীয়দিন ২টাকা, তৃতীয়দিন ৪ টাকা, এভাবে ২৯ দিনে হবে ২৭ লক্ষ টাকা র কিছু বেশি,৩১তম দিনে হবে ১কোটি৭ লক্ষ এর কিছু বেশি টাকা। এটাই হচ্ছে “কম্পাউন্ড ইফেক্ট”। এই পদ্ধতি এমন ভাবে কাজ করে, যে শুরুতে এর ফল কিছু একটা বোঝা যায় না, শুরুতে খুব কম ফল দেখা যায় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের অতিবাহিত হবার পর দ্রুত হরে বাড়তে থাকে যা একটা বিশাল পরিমান হয়ে দাঁড়ায়।
এই "Compound effect" আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত কাজ করে। সবাই নিজে সফল হাতে চান। তার জন্য অনেকে জ্ঞান মূলক বই পড়তে থাকেন। কিন্তু ফল শুরুতে খুব একটা না আসায় প্রথমে নিরাশা আসে। যেহেতু শুরুতে ফল খুব একটা আসে না তাই অনেকে আগেই হাল ছেড়ে দেন। এই নিয়ম কে ব্যবহার করে জীবনের সকল দিকে উন্নতি করা সম্ভব।
যিনি
সিগারেট এর ধুম পান করেন তিনি যদি প্রথম সিগারেট এর ধুম পান করতেই রক্তবমি করতেন, তাহলে কেও সিগারেট
খেতেন না। কিন্তু ধুমপান এর কুফল শুরুতে খুব কম থাকে তখন এর কুফল বুঝা যায় না।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলতে চলতে পরে ক্যান্সার এর মতো মরণ ব্যাধি হয়ে যায়। এটাও কম্পাউন্ড ইফেক্ট
এর নিয়ম এ হয়।
বাস্তব জীবনে “কম্পাউন্ড ইফেক্ট” কে কাজে লাগাতে হলে বুদ্ধিমত্তার সাথে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে। দেখবেন দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে খুব বড়ো ফল দেখাবে। ছোট ছোট কাজই হোক না কেন বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজটি করুন এবং ধারাবাহিক ভাবে কাজটি করতে থাকুন দেখবেন কিছুদিন পর তার তার ফল খুব বড়ো আকার ধারণ করেছে।
নিচে একটি কাহিনী :-
ধরুন
রাম শ্যাম এবং গনেশ তিনজন বন্ধু। তিনজনেরই স্বচ্ছল পরিবার বছরে ২লাখ টাকার
মতো রোজগার ছিল, তিনজনেরই
বিয়ে হয়ে গেছিলো এবং তিনজনেই মোটামুটি ভাবে জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ।
তিনজনের
মধ্যে রাম জীবনে বড়ো কিছু প্রাপ্তি করতে চাইলেন, সফল হতে চাইলেন তাই
তিনি প্রতিদিন শিক্ষামূলক বই পড়তে শুরু করলেন, জীবনে উন্নতি করতে
প্রতিদিন ৩০মিনিট 'মোটিভেশনাল" অডিও/ভিডিও দেখতে শুরু
করলেন। স্বাস্থ্যে উন্নতি করতে প্রতিদিন প্ৰাতঃভ্ৰমণ শুরু
করলেন । স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে শুরু করলো। ফাস্ট ফুড খেতে বন্ধ করে, পুষ্টিকর খাবার খেতে
শুরু করলেন।
দ্বিতীয়জন
শ্যাম নিজের জীবনে সন্তুষ্ট ছিলেন তাই নিজের জীবন পদ্দতির কোনো পরিবর্তন
করতে চান নি।
তৃতীয়
বন্ধু গনেশ কোনো ভালো কিছু করার পরিবর্তে খারাপ অভ্যাস শুরু
করলেন। যেমন ফাস্টফুড খাবার অভ্যাস চালু করলেন ,প্রত্যেক দিন কাজ করার
পরিবর্তে ঘুমিয়ে থাকার অভ্যাস রাখলেন, প্রতিদিন সময় নষ্ট করে
টিভি দেখতে শুরু করলেন।
এভাবে
৬ মাস পার হয়ে গেলো তিন জনের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য
দেখা যায় নি। কিন্তু ১ বছর পর পরিষ্কার পরিবর্তন দেখা গেলো। রাম 5 কেজি ওজন কমিয়ে নিয়েছেন।
তিনি মাসে 4টি
বই এর হিসাবে বছর এ 48টি
বই পড়ে শেষ করেছেন। ফলে তাঁর ব্যক্তিত্বের অনেক পরিবর্তন এসেছে, অনেক জ্ঞান বৃদ্ধি হয়েছে এবং তাঁর
চাকুরীতে প্রমোশন হয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে তার শরীর সুস্থ হয়েছে। তার জীবন খুশিতে ভরে
গেছে।
ওদিকে
শ্যাম এর জীবনে কোনো পরিবর্তন আসে নি আগের মতো ই চলছে।
অন্য
দিকে গনেশ স্বাস্থ্যকর খাদ্য না খেয়ে ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খাদ্য
খাবার জন্য তার দেহের ওজন 8 (আট) কেজি বেড়ে গেছে। খারাপ জীবনশৈলীর জন্যে পরিবার এর মধ্যে
ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়েছে।
সাধারণত যেসব জিনিস এ তৎক্ষণাৎ খুশি পাওয়া যায়, আমাদের মন সেটাই
করতে চায়। উপরের কাহিনী তে গনেশ সেই জিনিসটাই করলেন, প্রতিদিন ফাস্টফুড
খাওয়া,টিভি দেখা ,ঘুমিয়ে থাকা এসব জিনিস এ তৎক্ষণাৎ খুশি পাওয়া যায় । কিন্দু দীর্ঘদিনের
ক্ষেত্রে এগুলো জীবনে বড়ো ক্ষতি নিয়ে আসে। রাম কিন্তু সেটা করেন
নি। রাম প্রতিদিন অল্পকিছু পরিবর্তন শুরু করেছেন। প্রতিদিন ব্যাক্তিত্ববিকাশ বা
শিক্ষা মূলক বই পড়া ,মোটিভেশনাল
ভিডিও দেখা, রোজ
ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর
খাবার খাওয়া, এসব
চলতে চলতে একবছরে তাঁর জীবনে বিরাট একটা পরিবর্তন চলে এলো।
কথার অর্থ হলো ছোট কাজই করুন, কিন্তু বুদ্ধিমানের
মতো করুন, অবহেলা করে নয় এবং খারাপ অভ্যাস গ্রহণ নয়।
দ্বিতীয় কথা হলো.. এটা সত্যি যে এই
মহাবিশ্যে কম্পাউন্ড ইফেক্ট সর্বদা বর্তমান। তাই এটা মনে রেখে গঠন
মূলক অভ্যাস করা জরুরি। আপনি যেমনি অভ্যাস করুন কম্পাউন্ড ইফেক্ট কাজ করে, এবং জীবন এ যেমনি কাজ
করবেন তেমনি ফল পাবেন।
সর্বদা অবগত থাকুন, সর্বদা সাবধান থাকুন, আপনি যে অভ্যাস
সৃষ্টি করবেন, আপনার জীবন তাই হবে। তাই অভ্যাস চয়ন করার
আগে ভেবেচিন্তে তা করতে হবে। এমন নয় যে সবসময় কেও জেনে শুনে খারাপ পথ
অবলম্বন করেন। অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে অনেকে না জানার কারণে খারাপ পথে চালিত হন।
তাই জীবনে শিক্ষক এবং পথপ্রদর্শক দরকার পড়ে। যাঁরা সেই পথে সফল হয়েছেন এবং
অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন,তাঁদের
পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই দরকার।
নিজের আয়ের কিছু অংশ পুঁজি হিসাবে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, যা আপনাকে নতুন আয়
দেবে। শুধু
মাত্র একটি দিকে থেকে আয় নয়, একাধিক দিক দিয়ে থেকে আয় দরকার।
কোনো খারাপ অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন এবং ভালো অভ্যাস ,গঠনমূলক অভ্যাস ,উন্নতিমূলক অভ্যাস
গ্রহণ করুন।
আপনি যা করতে চান তাতে শুধু ইচ্ছা থাকলেই হবে না। যা আপনি করতে চাইছেন তার
পিছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্যই থাকতে হবে। বড়ো উদ্দেশ্য থাকলে
তবেই সেই উদ্দেশ্য প্রাপ্তির জেদ আপনাকে ওই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে শক্তি
যোগাবে। তাই জীবনে ছোট লক্ষ্য রাখবেন না। আপনার যা ক্ষমতা আছে মনে হয়, তার থেকে ১০ গুন্
বড়ো লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যাতে সেই লক্ষ্যে পৌছাতে আপনাকে অনেক
পরিশ্রম করতে হয়, অনেক
জ্ঞান জোগাড় করতে হয়, অনেক
দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তাহলে ওই লক্ষ্য পরিপূর্ণ করতে গিয়ে
আপনাকে যে জ্ঞান এবং
দক্ষতা অর্জন করতে হবে, তা
আপনাকে সফলতার চরম শিখরে নিয়ে যাবে। বড়ো প্রেরণা পাওয়ার জন্যে "Why " কে খুব শক্তিশালী হতে
হবে । আপনি কেন কাজটি করবেন সেই উদ্দেশ্য খুব বড়ো হতে হবে। যদি
"কম্পাউন্ড ইফেক্ট" কে ব্যবহার করে প্রকৃত জীবনে সফল হতে চান তাহলে
আপনার লক্ষ্যের পিছনে বড়ো উদ্দেশ্য থাকা অবশ্যই দরকার।
যখন কাজটি করছেন এবং কাজ করতে গিয়ে বড় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, কাজ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে করছে, তখন মনে করতে হবে
কেন কাজটি আপনি শুরু করেছেন, সেই উদ্দেশ্য মনে
রেখে, জেদ করে আপনাকে কাজে লেগে থাকতে হবে, ছেড়ে দিলে চলবে না।
'কম্পাউন্ড ইফেক্ট' তখনি কাজ করবে যদি
আপনি কাজটি ধারাবাহিক ভাবে করতে থাকেন। যেমন রকেট যখন মহাকাশে
যায়, শুরুতে
সবথেকে বেশি জ্বালানি জ্বালাতে হয়, কিন্তু কিছুটা উপরে
উঠে গেলে যখনই একবার রকেট এ 'মোমেন্টাম' এসে গেলো তখন জ্বালানি
র প্রয়োজন কমতে থাকে।আমাদের বাস্তব জীবনেও তাই হয়। কোনো কাজ শুরু করার প্রারম্ভে
কাজটিতে সবথেকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু একবার কাজ এ
অভ্যাস এসে গেলে, তখন
আর বেশি পরিশ্রম করতে হয় না, আমাদের মস্তিস্ক তখন অনেকটা সয়ংক্রিয়
ভাবে কাজটি পরিচালনা করে।
এই সারমর্ম বিখ্যাত লেখক "Darren Hardy " এর লেখা বই " The Compound
Effect " নামক বই থেকে গৃহীত।বইটি অবশ্যই পড়ুন এতে আরো অনেক কিছু
শেখার আছে।
বিষয়টি ভালো লাগলে অবশ্যই "লাইক" করবেন," শেয়ার" করবেন ,এবং "কমেন্ট" করবেন। ধন্যবাদ।।
আরো পড়ুন:- Finish what you Start. How to set your goal? ,
How Success Rule works? , 7 Habits of Highly Effective People ,
Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes
Motivational And Inspirational Quotes For Success, "IKIGAI" A path for Success
Dan Lok's Advice For Success , 14 Risks you must take for Success
চিন্তন করুন এবং সফল হন , কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন ,
জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,
অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,
আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ ,
সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?, জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,
ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি ,
মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস , 11 Qualities of a Successful Person.
ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY Loan , Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev
আকর্ষণের সূত্র , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র ,
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
0 Comments